নওগাঁর সাপাহারে এক নারীর সঙ্গে শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরী নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে রোববার রাতে ‘Shohana Chowdhury’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দুটি অন্তরঙ্গের মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করা হয়। এরপর বিষয়টি টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়।
দুই মিনিটের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চশমা পরিহিত এক ব্যক্তি মোবাইলে চোখ রেখে কিছু খাচ্ছেন। এরপর মোবাইলে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার পাশে এক নারী বসে আছেন।
এক মিনিট ২৭ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওতে তাদের দুজনকে অন্তরঙ্গ হতে দেখা যায়।
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাসসুল আলম শাহ্ চৌধুরীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা সদরের কলেজ গেট মুহুরি পট্টিতে সাপাহারবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানতে চাইলে সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবং আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহজাহান হোসেন মন্ডল বলেন, ‘শামসুল আলমের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে- এটা জনগণ তাদের দৃষ্টিতে দেখবে। আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের সে প্রার্থী। তাই জনগণই বক্তব্য দেবে। তবে এটা একটা ন্যক্কারজনক কাজ।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শামসুল আলম শাহ্ চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওটা কয়েকদিন ধরেই চলছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলানোর জন্য এটা করা হচ্ছে।’
মানববন্ধন ও নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিপক্ষ তারা এসব করছে।’
সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা সারোয়ার বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। যেহেতু আগামীকাল ভোট। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ভোট শেষ হলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন শেষে যদি আমাদের কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ আসে, তাহলে জেলা কমিটি একটা ব্যবস্থা করবে। শোকজও করতে পারে।’