বোমা আতঙ্কে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। ঢাকায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ টিমকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের চারদিকে রশি দিয়ে বেষ্টনী দিয়ে রেখেছে থানা পুলিশ। বোমার আতঙ্কে ভূমি অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ভূমি অফিসের সেবাপ্রত্যাশীরা এসে বোমাতঙ্কে ফিরে যাচ্ছেন। কেউবা নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বিষয়টি দেখছেন।
উদ্ধার করা বোমাসদৃশ বস্তু। ছবি: নিউজবাংলা
রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পশ্চিম পাশে ৩০ ফুট দূরত্বে একটি মসজিদ রয়েছে। দক্ষিণ পাশে রয়েছে একটি সড়ক। তার পাশে রায়েদ বাজার। বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার পর ভূমি অফিসকে ঘিরে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়।
রোববার সকাল ৯টার সময় রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নকর্মী রেজাউল করিম প্রথম একটি বস্তু দেখতে পাযন। তিনি জানান, ‘আমি খাকি কাগজে মোড়ানো একটি প্যাকেট দেখতে পাই। প্যাকেটটি ধরতেই হাত থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে এটি তুলে দেখি এর মধ্যে মোবাইল ডিসপ্লের মতো কী যেন লেখা। তা থেকে এক ধরনের টিক টিক শব্দ বের হচ্ছে।
‘জিনিসটি অফিসের স্যারদের দেখালে তারা এটিকে টাইম বোমা বলে উল্লেখ করেন। পরে এটি পাশের মাটির ঘরে নিয়ে রেখে দেই।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের টিম লিডার মো. মাহমুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সকাল ১১টায় সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে কাপাসিয়ায় ঘটনাস্থলে আসি। আমাদের টিম প্রাথমিক তদন্তের পর এটিকে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু করে। নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে দেখা যায় এটি বোমার আদলের একটি বস্তু। এটি নকল বোমা। কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য হয়তো এই কাজটি করেছে।’
বোমা আতঙ্কের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত নূর মৌসুমী।
রিফাত নূর মৌসুমী বলেন, ‘মূলত আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ কাজটি করেছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেবে।’