কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে নারী আসামির মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুরাইয়া খাতুনের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত কমিটি করা হবে এবং বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
প্রাণ হারানো ৫২ বছর বয়সী সুরাইয়া খাতুন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বরুনাকান্দা গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ময়নাতদন্ত করে মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. ইমতিয়াজের নেতৃত্বাধীন একটি দল। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত আটটার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান। সুরতহাল প্রতিবেদনে কী ধরনের আলামত পরিলক্ষিত হয়েছে, সে বিষয়ে সংবাদকর্মীদের কিছুই জানাননি তিনি।
পুত্রবধূ রেখা আক্তার হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বৃহস্পতিবার রাতে নান্দাইল উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে সুরাইয়া খাতুন ও তার ছেলে তাইজুল ইসলাম লিমনকে (২৩) আটক করে র্যাব। রাতেই তাদের র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জের ভৈরব ক্যাম্পে নেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে সুরাইয়া খাতুনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র্যাব। জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয় হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের পক্ষ থেকে সংবাদকর্মীদের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।’
যদিও র্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
ভৈরব থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান যে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, সেটা ডিসকাস (আলোচনা) করা যাবে না, ফরম্যাট অনুযায়ী সেটা বিজ্ঞ আদালতে যাবে।’