ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। রোববার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে এই ধাপের প্রচারণা। আর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫৭ উপজেলায় একই দিন মাঠে নামছে বিজিবি, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে মোট পাঁচদিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান শনিবার জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পাঁচদিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।
পরিপত্র অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতে পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।
এদিকে নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ থাকবে বিশেষ টিম। ওই টিম নির্বাচন সংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ/তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় সেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে।
রোববার রাতে ভোটের প্রচার বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনি এলাকায় সীমিত করা হবে যানবাহন চলাচল।