মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৫ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা যাতে লাইন নিতে না পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
অভিযানে আলীপুরা, ভিটিকান্দি, পৈক্ষারপাড় গ্রামের ৫ কিলোমিটার অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাইন দুটির মাধ্যমে প্রায় দেড় হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল বলে জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুরুজ আলম বলেন, ‘বৈধ গ্রাহকের তুলনায় এই এলাকায় অবৈধ গ্রাহকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। এই এলাকায় গ্যাসের সিস্টেম লস প্রায় ৪২ শতাংশ। টানা অভিযান চালিয়ে একের পর এক অবৈধ সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করা হলেও একটি চক্র কৌশলে রাতের আঁধারে ফের অবৈধ সংযোগ চালু করে ফেলছে। বাধ্য হয়ে তাই গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি আমরা।’
এতে কিছু বৈধ গ্রাহক এবং শিল্প কারখানার সাময়িক সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘রাতের আঁধারে এখন থেকে কেউ যাতে বিচ্ছিন্ন করার সংযোগ পুনরায় না নিতে পারে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আজ আমরা চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করলাম।’
পাশাপাশি গ্যাস চুরি প্রতিরোধে শিল্প কারখানার মালিকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রুতই বৈধ গ্রাহকরা গ্যাস পাবেন।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সোনারগাঁ আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক (মিটার অ্যান্ড ভিজিল্যান্স) আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ২৭ এপ্রিল থেকে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে রেখেছে তিতাস।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই উপজেলায় বৈধ গ্রাহকদের তুলনায় অবৈধ গ্রাহকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছে।
এর আগেও চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এই এলাকায় ২০ দিন গ্যাস সরবারহ বন্ধ রেখেছিল তিতাস।