‘গত নির্বাচনের আগে আমরা যখন অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের করার কথা বলেছিলাম তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। এখন আমরা সামনে এগোতে চাই, পেছনে নয়। আমরা দুপক্ষের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের উপায় খুঁজে বের করতে চাই।’
বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় বৈঠক শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র আস্থার জায়গা পুনর্নির্মাণ করতে চায় জানিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চাই, নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমাদের সম্পর্কের অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতেই আমি আজ মন্ত্রীর (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে আলোচনা করেছি।
বৈঠকে এটি ছাড়াও র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম অধিকার ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান লু।
তিনি বলেন, ‘গেল দুদিন আমি বাংলাদেশ সফরে রয়েছি। দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে নতুন করে আস্থার জায়গা গড়ে তোলার জন্য আমার এই সফর। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনেক উত্তেজনা ছিল। এখানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমরা নতুন একটি অধ্যায় প্রত্যাশা করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অস্বস্তিকর বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে আমরা ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে সহযোগিতা বাড়াতে চাই। আমরা নতুন বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলেছি।
‘বাংলাদেশের আরও বেশি শিক্ষার্থী যাতে যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিয়েও কথা বলেছি। কীভাবে এসব নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যায়।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ডোনাল্ড লু।
তিন দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু। এ বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার এটিই প্রথম সফর।
ঢাকায় আসার পর লু রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসভবনের নৈশভোজে যোগ দেন। সরকারের বেশ কয়েকজন নীতি নির্ধারকও ওই নৈশভোজে অংশ নেন।