প্রযুক্তিনির্ভর আগামীর বাংলাদেশ তৈরি করতে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ‘স্মার্ট থিংকিং দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিবর্তন হলেই জীবন অনেক সুন্দর হয়ে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল কানেক্টিভিটি-নির্ভর। আর স্মার্ট বাংলাদেশ হবে স্মার্ট থিংকিং-নির্ভর।’
সোমবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ৬১তম কনভেনশনে জাতীয় সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় সেমিনারের এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মানেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ; জ্ঞানভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্যই সরকার কাজ করে যাচ্ছে৷ স্মার্ট বাংলাদেশে যেতে চাইলে স্মার্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্মার্ট মানেই অ্যাডভান্স (অগ্রগামী) চিন্তা করা।
‘স্মার্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনে আমরা এখনও পিছিয়ে। সেই পেছানো জাতিকে দ্রুতই অগ্রসর করতে হলে প্রকৌশলীদের আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই স্মার্ট থিংকিং করতে পারতেন। সেই সময়ই তিনি জ্বালানি নিয়ে খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী এখনও অনেক খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ আহরিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবী দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে সারা বিশ্বে। তাই গ্রিন অ্যানার্জির প্রতি জোর দিতেই হবে, এর বিকল্প নেই৷ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট থিংকিংয়ের পাশাপাশি স্মার্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে৷ জাম্প করে করে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে৷ সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে৷ প্রকৌশলীদের সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, নতুবা পিছিয়ে যাবে।’
জাতীয় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
তিনি বলেন, ‘৬১তম কনভেনশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কম খরচে জনবান্ধব প্রকল্পের কথা বলেছেন। সেমিনারে এই বিষয়টির ওপর খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রকৌশলীরা সব সময়ই কম খরচে জনবান্ধব আধুনিক প্রকল্প তৈরি করে। সরকারকে সার্বিক প্রকৌশল সেবা দিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত।’
সমাপনী অনুষ্ঠানে আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘আইইবি সবসময় চেষ্টা করে প্রকৌশলীদের মানোন্নয়নে কাজ করতে৷ তাদের পেশা বিশ্বমানের করতেই সচেষ্ট থাকে আইইবি। সরকার আইইবিকে আরও সহযোগিতা করলে আইইবি বিশ্বের প্রকৌশল সংগঠন হিসেবে রোল মডেল হবে।’
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান ও ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইনসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগ, কেন্দ্র ও উপ-কেন্দ্রের নেতারা।