বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংসদ নির্বাচনের পর সংকট আরও গভীর হয়েছে: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ মে, ২০২৪ ১৭:২৩

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে তারা সংকটের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। আমি বলব, বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংকট আরও গভীর হয়েছে; সরকারের সংকটও গভীর হয়েছে। তারা এখনও সেটা উপলব্ধি না করলে তাদের ভবিষ্যৎ খুব ভালো নয়।’

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংকট আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এর নিরসন না হলে সরকারের ভবিষ্যৎ খুব ভালো নয়।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুরাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল একথা বলেন।

৮ মে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওনাদের (সরকার) মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে তারা সংকটের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন। আমি বলব, বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংকট আরও গভীর হয়েছে; সরকারের সংকটও গভীর হয়েছে।’

সরকারকে সর্তক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এখনও সেটা উপলব্ধি না করেন, সংকট নিরসনের চেষ্টা না করেন, তাহলে আপনাদের ভবিষ্যৎ খুব ভালো নয়।’

ফখরুল বলেন, ‘তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে যে রাষ্ট্রব্যবস্থায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে বিসর্জন দেয়া হয়, জনগণের কাছে সেটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয় না।

‘মনে রাখা প্রয়োজন, জীবন ও জীবিকার দ্বন্দ্বে জীবিকার কাছে যেন জীবন হেরে না যায়। তেমন একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই চলমান আন্দোলন। জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, ‘কে এলো না এলো এটা নিয়ে বিএনপি আগ্রহী নয়। বাংলাদেশের জনগণই আমাদের ভরসা, আমাদের পুরো আস্থা (জনগণ)। সেই আস্থার ওপরই আমরা দাঁড়িয়ে থাকি।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি দলের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঋণখেলাপি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্যই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সরকারের কোনো স্তরেই জবাবদিহিতা নেই। সেহেতু লাগামহীনভাবে ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার, জনগণের অর্থ লোপাটের মাধ্যমে একটি বিশেষ গোত্র তৈরি করা হচ্ছে। তারা এই অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেমন আছেন জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। আপনারা দেখছেন যে প্রায়শ তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। আবার বাসায় ফিরে আসছেন। আসার পরও বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টাই তিনি মেডি্যোল কেয়ারের মধ্যে আছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যেগুলো দেখছেন সেগুলো হচ্ছে মেগা লুট। একজন এখন সিঙ্গাপুরে গিয়ে হাইয়েস্ট ইনভেস্টার। চার নম্বরে আছেন। আর কয়েকজন আছেন যারা পানামা লিস্টের মধ্যে পড়ে যান।

‘দুর্নীতি-অনিয়মের ওপর ভিত্তি করে এই রাষ্ট্রকে কী করে পরনির্ভরশীল করা যায় এবং তাদের বিশেষ গোত্রকে কীভাবে অন্যায়ভাবে আর্থিক দিক থেকে শক্তিশালী করা যায় সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘কারও কোনো জবাবদিহিতা নেই। একজন মন্ত্রী, যার লন্ডনে বাড়ি পাওয়া গেছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’টির মতো। পত্রিকায় দেখা যায় যে, মন্ত্রী-এমপির বাড়ি-সম্পদ দেশের বাইরে রয়েছে। তারা ডোন্ট কেয়ার। তাদের যে বক্তব্য আর দাম্ভিকতা এটা অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। তারা এমনভাবে কথা বলেন যে ওনারা ছাড়া দেশে আর কেউ নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ অলিরেডি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে গেছে। রাষ্ট্র কখন ব্যর্থ হয়? যখন অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলে, রাজনৈতিক স্ট্রাকচারটা ভেঙে ফেলে, সামাজিক কাঠামো ভেঙে যায়, যখন কোথাও জবাবদিহিতা থাকে না তখন একটা রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়; নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এখন গোটা দেশে নৈরাজ্য চলছে।’

তিনি বলেন, ‘অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অবিলম্বে সব ধরনের অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর