বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে কুবি শিক্ষকদের অবস্থান দ্বিতীয় দিনে

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৭ মে, ২০২৪ ১৬:০৮

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, উপাচার্যের চেয়ারে বসে তিনি সন্ত্রাসীদের শিক্ষকদের ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু উপাচার্য নিজেই সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাই এখন তার বিচারের বিষয় আসে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর অছাত্র ও বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ ও অপসারণের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।

গত ২৮ এপ্রিল দুপুরে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, জাহিদ হাসান ও মোশাররফ হোসেন এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখের নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগতরা শিক্ষকদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামানের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষকরা।

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, উপাচার্যের চেয়ারে বসে তিনি সন্ত্রাসীদের শিক্ষকদের ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু উপাচার্য নিজেই সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন, তাই এখন তার বিচারের বিষয় আসে।

‘হয় তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন, না হয় সরকার তাকে অপসারণ করবে। কেননা একজন সন্ত্রাসী উপাচার্য দিয়ে কখনও একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন। উপাচার্য বলেছেন, হলগুলোতে টাকা ও অস্ত্র ঢুকেছে। অথচ তিনি তা প্রমাণ করতে পারেননি।

‘একজন উপাচার্য হয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করেছেন তিনি। এটির বিচারও হওয়া উচিত।’

শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা কী পদক্ষেপ চায়, এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সংস্কৃতি ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা বলেন, ‘যারা সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে, তাদের সার্টিফিকেট বাতিল এবং যারা এখনও ছাত্র আছে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য আবেদন করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার বিষয়টা কেবল শিক্ষকদের ওপর না, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটাও দেখার বিষয়।’

এ বিভাগের আরো খবর