‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের আশ্রয়কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিষয়ে পুলিশ লোমহর্ষক তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ।
মানব পাচার আইনে করা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার রোববার মিল্টনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
ওই আদেশের এক দিন পর মিল্টনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি ডিবির প্রধান বলেন,‘তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে বিভিন্ন মানুষকে প্রতারিত করে, তাদেরকে এই কিছু বৃদ্ধ, অনাথ এবং যারা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন, এ সকল লোকদেরকে পুঁজি করে তিনি যে টাকা কামাচ্ছিলেন, এই টাকাগুলো তার অ্যাকাউন্টে জমাই হচ্ছিল, বাট সে কিন্তু কোনো টাকাই খরচ করছিলেন না।
‘তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন না এবং আরও অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি, যা ভয়াবহ তথ্য, লোমহর্ষক তথ্য। সেগুলা আমরা পরে বলব। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না করে এগুলা আর বলা ঠিক হবে না।’
মিল্টন সমাদ্দারকে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক করে ডিবি। পরের দিন বৃহস্পতিবার মিরপুর মডেল থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলায় মিল্টনের সহযোগী কিশোর বালা নামে একজনকেও আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২ মে মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন ডিবির এসআই কামাল হোসেন।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।