বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ

  • প্রতিনিধি, ঢাবি   
  • ৫ মে, ২০২৪ ২০:৫১

নেতানিয়াহু ও বাইডেনকে যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করে অধ্যাপক নসরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা সারা পৃথিবীকে আলোড়িত করবে। এই আন্দোলনেই শেষ হবে নেতানিয়াহুর সব চক্রান্ত, বাইডেনের সব চক্রান্ত, পশ্চিম ইউরোপের চক্রান্ত।’

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্দোলন চলছে তাতে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় সেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কুশপুতুল পোড়ানো হয়।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ‘সলিডেরিটি উইথ ফ্রি প্যালেস্টাইন মুভমেন্ট ইন আমেরিকান ইউনিভার্সিটিজ’ শিরোনামে শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে আবার রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

সংহতি সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘মানবতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের এই আয়োজনে আমি এসেছি। নিপীড়িত-নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়াতে আমি এখানে এসেছি। ফিলিস্তিনের গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তা অতীতের যেকোনো নির্মমতাকে হার মানিয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর কখনোই এতো সীমিত সময়ে এতো বেশি নারী-শিশু নিহত হননি।

‘ফিলিস্তিনে গণহত্যায় ইসরায়েল কখনও এতোটা আগ্রাসী হতো না। তাদের নিবৃত্ত করতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদে বার বার প্রস্তাব তোলা হয়েছে। আর তা আটকে দিয়েছে আমেরিকা। ফিলিস্তিনকে সহায়তা করতে মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন নেই, আপনি একজন মানুষ হলেই যথেষ্ট’, যোগ করেন এই অধ্যাপক।

নেতানিয়াহু ও বাইডেন উভয়কে যুদ্ধাপরাধী উল্লেখ করে অধ্যাপক নসরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আজকে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে তা সারা পৃথিবীকে আলোড়িত করবে। এই আন্দোলনেই শেষ হবে নেতানিয়াহুর সব চক্রান্ত, বাইডেনের সব চক্রান্ত, পশ্চিম ইউরোপের চক্রান্ত।’

সমাবেশে শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম অপু বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ওয়েল ডকুমেন্টেড জেনোসাইড এটি। অথচ বিশ্ব ব্যবস্থা এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বিশ্ব ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা আমেরিকার মোড়লিপনার ব্যাপারে শঙ্কিত। ইসরায়েলের নেতানিয়াহুর মতো আমেরিকার বাইডেনও সমানভাবে অপরাধী, একজন কিলার।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, ‘আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। তারাই (আমেরিকা) আবার বড় বড় কথা বলে। তারা আমাদের মানবতার ছবক দেয়।

‘গাজায় চলমান ইসরায়েলের আগ্রাসনে ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার লোক মারা গেছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে- ইসরায়েলকে মদদদাতা সব দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।’

সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর