বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, মানববন্ধন

  • প্রতিনিধি, নওগাঁ   
  • ৫ মে, ২০২৪ ১৪:৩৮

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

নওগাঁয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ওষুধের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীর।

রোববার বেলা ১১টার দিকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু এতে সভাপতিত্ব করেন।

সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিপণন করে। ওষুধ ব্যবসায়ীর কোনো অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মামলায় আসামির ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিকক্স আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

ওষুধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন, আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবি জানান তারা।

নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসীন্দা মুনি আরা বলেন, এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চারপদের ওষুধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীদের এসে দেখি সব দোকান। আধা ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ওষুধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ওষুধ সংগ্রহ করা হয়। ওষুদের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

এ বিভাগের আরো খবর