টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে চোরচক্র বাসার আলমারি ভেঙে নগদ এক লাখ টাকাসহ ও ২/৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের। নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে ওই শিক্ষক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার সকালে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক ও ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা গ্রামের শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অসুস্থরা হলেন- ৫৬ বছর বয়সী শিক্ষক মতিয়ার রহমান, তার পুত্রবধূ ২৮ বছর বয়সী দোলন ও মেয়ে ২২ বছর বয়সী মারিয়া জাহান মুন্নী।
অসুস্থ মুন্নী বলেন, ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আমার বাবা, ভাবী ও আমি খাওয়া শেষে নিজ নিজ রুমে ঘুমাতে যাই। অন্যান্য দিন আমরা টিভি বা মোবাইল দেখে ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি, কিন্তু সেদিন রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ঘুম ঘুম ভাব আসে। পরে কখন ঘুমিয়ে যাই তা জানা নেই। পরে রাত ৩ টার দিকে বাসায় শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায়। সে সময় কয়েকজন লোক রুমে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লুটপাট করে। তাদের মুখ ঢাকা ছিল, যার কারণে চিনতে পারেনি।’
মুন্নীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে সবার সঙ্গে আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি বাবা, ছোট বোন ও স্ত্রী তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং বাসার সবকিছু এলোমেলো। পরে ডাক-চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং বোন ও স্ত্রীকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
এ ঘটনার বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’