তিউনিসিয়া থেকে আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির মরদেহ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর এদের মধ্যে মাদারীপুরের রাজৈরে পাঁচজনের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাদের মরদেহ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় মরদেহগুলো আসে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মরদেহগুলো পৌঁছালে মাগরিবের পর পারিবাকিভাবে দাফন করা হয়।
স্বজনরা জানান, চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে দালালদের মাধ্যমে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় রওনা দেন তারা।
তিউনিসিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন ফেটে আগুন ধরে যায়। ডুবে যায় নৌকাটি। এতে রাজৈর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের সজীব কাজী (১৯), পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২২), সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), কদমবাড়ী গ্রামের নয়ন (২০), কিশোরদিয়া গ্রামের কাওসার (২২) মুকসুদপুর উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত (২৩), ফতেপট্রি গ্রামের রাসেল (২২) ও গয়লাকান্দি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপনসহ (২২) ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনরা জানান, দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর সম্প্রতি আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়। ৩০ এপ্রিল মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য তিউনিসিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে মরদেহগুলো সৌদি এয়ারলাইনসে ২ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকায় পৌঁছায়।
নিহত মামুনের বড় ভাই সজিব শেখ জানান, দুর্ঘটনার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তিউনিসিয়ার জারবা ও গ্যাবেস হাসপাতালের মর্গে অজ্ঞাত পরিচয়ে সংরক্ষিত সব মরদেহগুলো দেখতে যায়।
তিনি জানান, এর পর দুর্ঘটনায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় মৃত আটজন বাংলাদেশি নাগরিকের ছবি এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
সজিব শেখ জানান, পরে দূতাবাস থেকে নিহত বাংলাদেশিদের আউটপাস ইস্যু করে মরদেহ দেশে পাঠায়।