বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরী করে মামলা দায়ের করাটা সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের জামিন নামঞ্জুর এবং নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রোববার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি ও একতরফা নির্বাচন ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতার লোভ আওয়ামী সরকারকে আরও বেশি মাত্রায় হিংস্র করে তুলেছে। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ৬ জন নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো এবং মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার তারই ধারাবাহিকতা। উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
পৃথক এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলীয় কোনো নেতা বা কর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করাটা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ। আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের মনুষত্বহীন কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
‘রাষ্ট্রের মদদে এখনও বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। তাই অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে। এর ফলে গুম, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলশূন্য না করলে দেশে নব্য বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব নয় বলেই বিরোধী দল ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী নেতৃবৃন্দকে গোয়েন্দা পুলিশ কতৃর্ক আটকের পর অস্বীকারের ঘটনা নিঃসন্দেহে অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব নেতা নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তাদের পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
‘এছাড়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব শাহেদকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি ডিবি পুলিশ কতৃর্ক আটককৃত উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে জনসম্মুখে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তাদেরকে সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে।
‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিরোধী দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তবে দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে জনগণ। আওয়ামী অবৈধ শাসক গোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন থামবে না।’