কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও বৈষয়িক ছিলেন না পাগল হাসান নামে পরিচিত মতিউর রহমান হাসান। সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে ভাঙা ঘরেই থাকতেন মা, স্ত্রী আর দুই শিশু সন্তান নিয়ে। ১৮ এপ্রিল মাত্র ৩৫ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী।
শিমুলতলা গ্রামের বাড়িতে ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় হাসানের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন পাগল হাসানদের টিনশেড ঘরের জায়গায় পাকা ঘর নির্মাণ করে দেবেন তিনি। দ্রুতই নিজের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন শুরু করেছেন সিলেটের মেয়র।
সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, ‘নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মেয়র মহোদয় শনিবার (২৭ এপ্রিল) একজন প্রকৌশলী, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং আমাকে পাঠিয়েছিলেন ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে। মূলত বাড়ির ভিটে দেখে ঘরের ডিজাইনের কাজ শুরুর লক্ষ্যেই আমাদের সেখানে পাঠান তিনি। আমরা ওই গ্রামে গিয়ে পাগল হাসানের মা, স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
সাজলু বলেন, ‘শুধু পাগল হাসানই নন, ওইদিন দুর্ঘটনায় হাসানের সঙ্গে নিহত আব্দুস সত্তারের পরিবারেরও খোঁজখবর নিয়েছেন মেয়র। তার পরিবারকেও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’
শিল্পী পাগল হাসানদের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাগল হাসান স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক শিল্পী ডা. জহির অচিনপুরী ও সদস্য সচিব শাহাদত হোসেন লোলন। মেয়রকে এ কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।