বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবহন ধর্মঘটে চট্টগ্রামে দুর্ভোগ চরমে

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম   
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১৫:৪৭

নগরের মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি এলাকায় শত শত মানুষ যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন সকালের দিকে। রিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের ক্ষতিপূরণ, অগ্নিসংযোগকারীদের গ্রেপ্তারসহ চার দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস রোববার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে সোমবার একই সময় পর্যন্ত।

এ ধর্মঘটে চট্টগ্রামে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। তীব্র গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পাননি বিপুলসংখ্যক মানুষ।

সকাল থেকে নগরীর রাস্তায় বাসসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ ছিল।

মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা।

অক্সিজেন মোড়ে অপেক্ষারত তরুণ সাদিক খান বলেন, ‘এই গরমের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহন পাইনি।

‘সিএনজিতে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন অনেকে। এতে সময় দুই থেকে তিন ঘণ্টা বেশি লাগবে।’

চট্টগ্রাম নগর থেকে বিভিন্ন উপজেলা, কক্সবাজার জেলা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। ওইসব এলাকা থেকে কোনো বাসও চট্টগ্রামে আসেনি। জেলা শহরেও চলছে না গণপরিবহন।

নগরের অক্সিজেন এলাকায় কয়েক শ যাত্রীকে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অক্সিজেন এলাকা থেকে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার উদ্দেশে বাস ছাড়ে।

ওই এলাকায় দেখা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চললেও ভাড়া হাঁকা হচ্ছে তিন থেকে চার গুণ বেশি। অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই চলে যান নির্দিষ্ট গন্তব্যে।

নগরের মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, জিইসি এলাকায় শত শত মানুষ যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন সকালের দিকে। রিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা বাড়তি ভাড়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

ধর্মঘটের বিষয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, ‘বিনা কারণে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। গত তিন মাসে বিভিন্ন থানায় লাইনম্যান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছে।

‘অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঁদাবাজির কথা বলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শাহ আমানত সেতু এলাকায় দেখা যায়, সড়কে বিভিন্ন জেলা-উপজেলাগামী বাস নেই বললেই চলে। মাইক্রোবাস চলাচল করলেও তাতে ভাড়া তুলনামূলক বেশি।

নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে সাধারণত কক্সবাজারগামী বাস ছেড়ে যায়, তবে আজ কাউন্টারগুলোর সামনে কোনো বাস ছিল না। অধিকাংশ কাউন্টার ছিল বন্ধ।

সকালের দিকে নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় কয়েকটি বাস আটকানোর খবর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, ‘কর্মবিরতির সমর্থকরা নগরে চলাচলকারী বাস আটকে রেখেছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ১১ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৬ এপ্রিল বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ সময়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

এ বিভাগের আরো খবর