নাটোরের সিংড়ায় নিজ ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাদত একই উপজেলার দেওগাছা উত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট ১৬ বছরের এক কিশোরী ও ছোট তার দুই ভাই-বোনকে বাড়িতে রেখে তাদের পরিবারের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী পাকুয়া গ্রামে যায়। কিশোরীর ছোট দুই ভাই-বোন স্কুলে যাওয়ায় পর বাড়িতে কেউ না থাকায় তার আপন চাচা শাহাদত বাড়িতে প্রবেশ করেন। পরে অভিযুক্ত শাহাদত তার ভাতিজিকে ধর্ষণ করেন।
এ সময় কিশোরী সেই ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়ার কথা বললে শাহাদত তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
তিনি জানান, নিহতের দুই ভাই-বোন স্কুল থেকে বাসায় ফিরে তার বোনকে মৃত দেখলে শাহাদত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে শাহাদতকে ধরে সংঘবদ্ধ পিটুনি দিলে তিনি তার ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় নিহত কিশোরীর মা শাহাদতের নামে সিংড়া থানায় মামলা করেন। রায় ঘোষণার সময় সোমবার অভিযুক্ত শাহাদত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।