বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সদরঘাট লঞ্চ ট্রাজেডি: রিমান্ড শেষে ৫ আসামি কারাগারে

  • প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১৭:৫১

সদরঘাট লঞ্চ দুর্ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালের পন্টুনে দুই লঞ্চের মধ্যে ধাক্কা লেগে রশি ছিড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেল এ আদেশ দেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশি রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে শুক্রবার সদরঘাট নৌ পুলিশের সদস্যরা আসামিদের আদালতে হাজির করেন। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপ-পরিদর্শক নকীব অয়জুল হক। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার (চালক) ৫৪ বছর বয়সী আব্দুর রউফ হাওলাদার, দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার (চালক) ৫৪ বছর বয়সী সেলিম হাওলাদার, ৭০ বছর বয়সী ম্যানেজার ফারুক খান, এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার (চালক) ৪৮ বছর বয়সী মিজানুর রহমান এবং দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার (চালক) ২৮ বছর বয়সী মনিরুজ্জামান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

মামলার এজহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ২টা ৫৫ মিনিটে সদরঘাট টার্মিনালের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাসরিফ-৪ নোঙর করে থাকা অবস্থায় এমভি ফারহান-৬ এর চালক বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে ১১ নম্বর পন্টুনে ঢোকার সময় তাসরিফ লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে তাসরিফ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। সেটি দ্রুত গতিতে এসে পন্টুনে অপেক্ষমান যাত্রীদের আঘাত করলে তারা নদীতে পড়ে যায়। এতে এক পরিবারের তিনজনসহ ৫ যাত্রীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ফারহান এবং তাসরিফ লঞ্চের দায়িত্ব অবহেলা আছে।

ওই ঘটনায় নিহত হন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে ৩০ বছর বয়সী বিল্লাল, তার স্ত্রী ২৬ বছর বয়সী মুক্তা, তাদের ৩ বছরের মেয়ে সাইমা। তারা তিনজন একই পরিবারের সদস্য। বাকি দুজন হলেন- পটুয়াখালী সদরের জয়নাল আবেদিনের ছেলে ৩৮ বছর বয়সী রিপন হাওলাদার এবং ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে ১৯ বছর বয়সী রবিউল।

দুর্ঘটনার পর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএ-এর ক্রয় ও সংরক্ষণ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক, নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন কমিটির সদস্য।

কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যানের নিকট প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়।

এ ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ-এর পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির নমিনির নিকট দাফন-কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর