কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী জাইমা খাতুনকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই আসানুল খাঁ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরশাদিপুর এলাকার একটি মাঠে ঘাসের জমি থেকে মুখ বাঁধা ও পায়ে আঘাতের চিহ্নসহ জাইমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জাইমা চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আফাজ খাঁর মেয়ে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও স্বামী পরিত্যক্তা ছিলেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন চরশাদিপুর গ্রামের মৃত আইজউদ্দিনের ছেলে সেন্টু আলী (৫৫) ও আনারুল ইসলাম (৪৬)। তাঁরা ওই এলাকার ধঞ্চে জমির মালিক।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাইমা নিয়মিত মাঠ থেকে ধঞ্চের পাতা কাটতেন তাঁর ছাগলের জন্য। এ নিয়ে ধঞ্চেচাষিরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। নিষেধ করার পরও পাতা কাটতে থাকায় ক্ষোভ থেকে কেউ তাঁকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, সোমবার রাতেই নিহতের ভাই অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আটক তিনজনের মধ্যে দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।