ঈদ ও বাংলা নববর্ষের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
টানা পাঁচ দিনের ছুটির পর সোমবার খুলেছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরটি। সকাল থেকে শুরু হয়েছে বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি, তবে বন্দরে পুরোপুরি কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল শুল্কভবনের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পাঁচ দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। আজ সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হলেও ঢিমেতালে চলছে, তবে দুই এক দিনের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘দেশের ৭৫ ভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আমদানিকারকরা গ্রামে ঈদ করতে যাওয়ায় এখনও ঢাকায় তাদের অফিস খোলেনি। তাই বন্দর থেকে পণ্য খালাসও তেমন নেয়া হচ্ছে না।’পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আগামী শনি-রোববার লেগে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে ঈদের ছুটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে টানা পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ওপারের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র ট্রাকজট সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর এলাকা, বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁ পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, ‘বন্দরে পণ্যজট কমাতে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তবে প্রচণ্ড গরমে বন্দর অভ্যন্তরে বা ওপেন ইয়ার্ডে হ্যান্ডেলিং শ্রমিকরা কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন।’