বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৩:৩১

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইন ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে থানায় জানানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ বছরের তরুণী হাসনাহেনা, যে মা তাকে দত্তক নিয়ে বড় করেছেন; তার চোখে এখন শুধুই অশ্রু।

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে উদ্ধার করে তাকে অ্যাম্বুলেন্স চালক জয়নাল আবেদীন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসনাহেনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা জয়নাল আবেদীন হাইওয়ে পুলিশের বরাত দিয়ে জানান, হাইওয়ে পুলিশের একজন কর্মকর্তা আমাকে ফোনে খবর দিলে আমি রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি।

তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা বলেন- এই তরুণী রাতে মুন্সিগঞ্জের হাসরা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি বেপরোয়া যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যান, পরে পুলিশের নির্দেশে তরুণীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসা হয়।

শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে হাসনাহেনার মা নুরজাহান বেগম মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমাকে হাইওয়ে পুলিশ ফোনে জানায়- আপনার মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে, আপনারা ঢাকা মেডিকেলে যান। এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যালে এসে আমার মেয়ের মাথা ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় টলির ওপর মরদেহ দেখতে পাই।

তিনি বলেন, হাসনাহেনা আমার পালক মেয়ে। ১২ বছর আগে আমার বোন থেকে এই মেয়েটাকে দত্তক নিই, তখন তার বয়স ছিল চার বছর। আমি লালবাগ শহীদনগরে একটি প্লাষ্ঠিক কারখানায় কাজ করে যা উপার্জন করি সেটা দিয়ে ওকে মানুষ করেছি।

নুরজাহান বেগম বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে আমার মেয়ে আমাকে বলে, আমি মুন্সিগঞ্জ যাচ্ছি, রাতেই বাসায় ফিরব, কিন্তু মুন্সিগঞ্জ কেন গিয়েছে ওখানে কি কাজ তার সেটা বলতে পারছি না।

তিনি বলেন, বাবারে আমি খুবই গরিব, অ্যাম্বুলেন্স টাকাও দিতে পারেনি, এই মরদেহ কীভাবে বাসায় নেব, দাফন কাফনের টাকাও আমার কাছে নেই।এ সময় বিলাপ করে কাঁদতে থাকেন নুরজাহান বেগম।

তিনি আরও বলেন, আমি লালবাগের শহীদ নগর ২ নম্বর গলির একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় মেয়ে হাসনাহেনাকে নিয়ে থাকতাম। তার বাবা কামাল হোসেন অনেক বছর আগেই মারা যান। শেষ পর্যন্ত মেয়েটাকে হারালাম, এখন আমি একা।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইন ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে থানায় জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর