বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুন্সিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ, মালিক-কর্মচারীর পলায়ন

  • প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ   
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৪২

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় মান্না দাস বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। পরে বিস্তারিত বিষয়ে বলতে পারব।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ভুল চিকিৎসায় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বালিগাঁও বাজারের ডক্টরস হসপিটালের এ ঘটনায় মারা যাওয়া লিটন দোকানদার (৪০) পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার বাঁশিরা গ্রামের লতিফ দোকানদারের ছেলে। তিনি ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন।

লিটনের স্বজনরা জানান, লিটনের পেটে ব্যথা হলে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসেন স্বজনরা। নিয়ে আসার পর ওই হাসপাতালের এক নার্স তার শরীরে পরপর তিনটি ইঞ্জেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশের কিছুক্ষণ পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ব্যবসায়ী। পরে ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ মালিকপক্ষ পালিয়ে যায়।

পরে লিটনের আত্মীয়-স্বজনরা ওই হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেন। টঙ্গীবাড়ি থানা পুলিশ হাসপাতালটি ঘিরে রাখে।

মারা যাওয়া লিটেনের স্বজন কাজল আক্তার বলেন, আমার বেয়াইয়ের সামান্য পেটে ব্যথা হচ্ছিল। পরে আমরা তাকে এ হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে আনার পরে ওই হাসপাতালে তেমন কোনো চিকিৎসক ছিল না। নার্সের পরামর্শে তার শরীরে তিনটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। ওই ইনজেকশন পুশ করার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আমার বেয়াই। এর পরই হাসপাতালের মালিক কর্মচারীরা সব পালিয়ে যায়। তারা যদি ভুল চিকিৎসায না করবে তবে পালিয়ে গেল কেন?

এরও দুই মাস আগে ওই হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় লৌহজং উপজেলার গাউদিয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার পরে ওই হাসপাতালের ওটি বন্ধ করে দিয়ে যান মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন। কিন্তু তারপরও অনুমতি ছাড়াই ওটি ব্যবহার করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কোনো ভুল চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ব্যবসায়ী স্ট্রোক করেছিল। তার বুকে অনেক ব্যথা হচ্ছিল। ব্যথা কমানোর জন্য ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল। পরে তাকে ঢাকা নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনরা তাকে ঢাকা নিয়ে যায়নি।

এর আগে প্রসূতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পরে সিভিল সার্জন সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের ওটি বন্ধ করেছিল পরে আমরা আবার কাগজপত্র দেখিয়ে অনুমতি নিই।

এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রণয় মান্না দাস বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছি। পরে বিস্তারিত বিষয়ে বলতে পারব।

এ বিভাগের আরো খবর