চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেম হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও আদালতে অভিযোগপত্র না দেয়ায় আক্ষেপ করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ।
যুবলীগ নেতা জেমকে নিজের ছেলে মন্তব্য করে তার হত্যার বিচার না পেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জেমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ওদুদ রোববার এসব কথা বলেন।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, প্রকাশ্যে কুপিয়ে জেম (খাইরুল আলম) হত্যার এক বছর হয়ে গেল। এ মামলা যেন দীর্ঘায়িত হয়, সে জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র যদি দ্রুত দেয়া না হয় এবং তা নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, কোনো আসামির যদি নাম বাদ দেয়া হয়, তবে আগামী ঈদের পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যেকোনো দিন বা যেকোনো সময় মানববন্ধন করা হবে।
আব্দুল ওদুদ বলেন, প্রয়োজনে অনশন করা হবে। তারপরও যদি না হয়, তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-শিবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করা হবে। তারপরও যদি না হয়, তবে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে পদত্যাগ করব।
গত বছর ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন খাইরুল আলম জেম। তার বাড়ি শিবগঞ্জ পৌরসভার মর্দনা গ্রামে। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে বসবাস করতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোখলেসুর রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটনসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন নিহত খাইরুলের ভাই মনিরুল ইসলাম।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও। আসামিদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে পৌর মেয়রের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে।
জেম হত্যা মামলা প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন, সপ্তাহখানেক আগে পুলিশের সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেয়া হয়েছে। তবে মামলার নথিপত্র এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতিও আছে।