বনখেকোদের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার ভিটিকান্দি গ্রামে রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের চেক ও টাকা হস্তান্তর করেন মন্ত্রী।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বন কর্মকর্তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পাহাড়খেকোরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছিল যে, তাদের পথে কেউ বাধা হলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করে একটি নজির স্থাপন করতে চাই। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। জড়িতদের এমন বিচার করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করার কথা কেউ চিন্তা না করে। বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
‘আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অবগত আছেন। সময়-সুযোগ পেলে তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, আমরা তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছি।’
মন্ত্রী প্রাণ হারানো বন কর্মকর্তার মা এবং স্ত্রীর হাতে ১০ লাখ টাকার চেক ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা দেন।
নিহত বন কর্মকর্তা সাজেদুজ্জামানের স্ত্রী মুমতাহেনা সুমিকে তিনি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। পরে তিনি ওই কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
নিহত সাজেদুজ্জামানের মা উম্মে কুলসুম বলেন, ‘আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরে এ ছেলের টাকায় আমার চিকিৎসা চলছিল। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, আমরা খবর পাচ্ছি তারা এখনও এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
গত ৩১ মার্চ রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে করে মাটি পাচার করার সময় বাধা দিতে গেলে ড্রাম ট্রাক চাপা দিয়ে নির্মমভাবে খুন করা হয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানককে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।