গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্রিজের নিচ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সেই নবজাতক সন্তানটির নাম রাখা হয়েছে আবু সুফিয়ান।
শিশুটির লালন-পালনের দায়িত্ব নেয়া সাদেকুজ্জামান সবুজ ও শিমা দম্পতি শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বড় হলে ছেলে আবু সুফিয়ানকে একজন আলেম বানাবেন বলে জানান উপজেলার অভিরামপুর গ্রামের নিঃসন্তান এ দম্পতি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড বৃহস্পতিবার বিকেলে সবুজ ও শিমার কাছে নবজাতককে তুলে দেন।
এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের অভিরামপুর এলাকার একটি সেতুর নিচ এক নবজাতককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
উদ্ধার হওয়া নবজাতককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ শেষে অভিরামপুর গ্রামের শাহারুল ইসলামের অস্থায়ী জিম্মায় দেয় উপজেলা প্রশাসন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ ফরহাদ মোবাইল ফোনে বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাখালবুরুজ ইউনিয়নের একটি ব্রিজের নিচ থেকে বুধবার সকালে নবজাতককে উদ্ধার করে ওই এলাকার লোকজন। পরে সকাল ১০টার দিকে ওই নবজাতককে তারা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।’
নবজাতককে লালন-পালনের জন্য স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত একই এলাকার দুই ব্যক্তি সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের বৈঠক আহ্বান করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। পরে ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্তে রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের ছোট অভিরামপুর গ্রামের নিঃসন্তান দম্পতি সাদেকুজ্জামান সবুজ ও শিমা আক্তারের হাতে নবজাতককে তুলে দেন শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জুয়েল মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া একদিনের নবজাতককে সাদেকুজ্জামান সবুজ ও শিমা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, শিশুটি ভালো আছে।’