বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করে রামপাল থানা পুলিশ।
এ ছাড়া এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত দলের অজ্ঞাতনামা এক সদস্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় আহতরা হলেন রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সেন্টি সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. আকরাম, নিরাপত্তা কর্মী মো. সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও আনসার সদস্য কামাল পাশা।
তবে এ ঘটনাকে ডাকাতি হিসেবে দেখছে না পুলিশ। তারা বলছেন, সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোহার মালামাল চুরি করা জন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমান।
তিনি জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে ৩০ থেকে ৪০ জনের অজ্ঞাতনামা একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র মেটেরিয়াল ইয়ার্ডের ৩ নম্বর টাওয়ারের পাশ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রবেশ করে। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব সেনটি সিকিউরিটি সদস্যরা চোরদের দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। এ সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
পরে আনসার সদস্যরা ও চোর চক্রের সদস্যরা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপরও হামলা চালায়। এ সময় চোরদের হাত থেকে বাঁচতে আনসার সদস্য কামাল পাশা ৩০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ সময় চোররা দৌড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে কাশবন জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, পরে আহত নিরাপত্তা কর্মী ও আনসের সদস্যদের উদ্ধার করে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাময় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।