টাঙ্গাইলে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসের যাত্রী এক পুলিশ সদস্য তাদের বাধা দিতে গেলে ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশি অভিযানে সোহেল নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। ২৮ বছর বয়সী সোহেল রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আহত সুভাষ নাটোরের সিংড়া থানার ডাহিয়া গ্রামের কুবির সাহার ছেলে। বর্তমানে তিনি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ সদস্য সুভাষ মঙ্গলবার ঢাকায় একটি মামলার সাক্ষী দিয়ে রাতে বাসযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নামক স্থানে পৌঁছালে একদল ডাকাত বাসের ভেতর উঠে ডাকাতি শুরু করে। এ সময় পুলিশ সদস্য সুভাষ বাধা দিলে ডাকাত দল তার শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে জখম করে। পরে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মির্জাপুর থানা পুলিশ ঘটনাটি জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানকার জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে তার।
এ বিষয়ে গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী সার্কেল রাজিউর রহমান জানান, ‘রাতে শিশির পরিবহনের একটি বাস ডাকাতের কবলে পড়ে। এরপর ৯৯৯ ফোন পাওয়ার পর গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চলাকালে পুলিশ চেক পোস্টের সীমানা ভেঙে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ডাকাত দল। এ সময় হাইওয়ে পুলিশ ১ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। পরে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের যৌথ অভিযানে একজনকে ধরা সম্ভব হয়।
বাসটি বর্তমানে মির্জাপুর থানার হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
তবে মির্জাপুর থানার ওসি রেজাউল করিম এ বিষয়ে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে চাননি।