কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক অফিস সহায়কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার বিকেলে অফিস সহায়ক আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আবদুল কাদির মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানকে এ ঘটনার তদন্ত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
এর আগে আবদুল কাদির মিয়ার বিরুদ্ধে খাজনা খারিজ করে দেয়ার জন্য ঘুষের টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে। টাকা নেয়ার সময় গোপনে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মাইজখাপন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা নিতে যাওয়া ভোলা মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘মাইজখাপন ভূমি অফিসে দুইটা জমা খারিজ, খাজনা এবং কলমি নকশা বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছি কাদির ভাইকে। পাঁচ-ছয় শ টাকা বাড়াইয়া দিয়েছি তাকে। এটা বকশিশ বাবদ দিয়েছি। এটা কোনো ঘুষ না। কে বা কারা এটা ভিডিও করে পাঠিয়েছে, এটা আমি জানিই না। কাদির ভাইয়ের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ অনলাইনে আবেদনের বিষয় এতো ভালো করে বুঝি না। উনার কাছে সহযোগিতা চাইলে উনি আমাদের সহযোগিতা করেন।’
অন্যদিকে অফিস সহায়ক আবদুল কাদির মিয়া ঘুষের টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সাথে থাকা লোকটা (আমার মনে হয় সেই ভিডিও করেছিল) আরও কয়েকজনের সঙ্গে বেশ কয়েকটা অন্যায় কাজের তদবিরে আমাদের অফিসে এসে আমাকে সহযোগিতার জন্য প্রথমে অনুরোধ করে। পরে চাপ দিতে থাকে। অন্যায় কাজ হওয়ায় আমি রাজি না হলে তার মোবাইলে থাকা পাঁচ মাস আগের সেই ভিডিও আমাকে দেখিয়ে টাকা দাবি করে, না হলে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়।
‘আমি যেহেতু অন্যায় করি নাই, এজন্য আপস করি নাই। রোববার আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার শোকজের জবাব বিধি মোতাবেক দিয়েছি।’
সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান বলেন, ‘আমি এখনও লিখিতভাবে তদন্তের নির্দেশনা পাইনি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’