বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবেশীর কাছে পেঁয়াজ চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ৩০ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৫১

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, পরবর্তীতে সেদিনই মেয়েটির মা-বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারকে জানালে তারা শালিস করে ব‌্যবস্থার কথা বলে কালক্ষেপণ করেত থাকেন।

পটুয়াখালীতে পাশের বাড়িতে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেনি পড়ুয়া এক শিশু। গত ২৩ মার্চ ঘটনাটি ঘটলেও শুক্রবার মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।

শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. জসিম।

ওসি জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের মো. শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনাটিকে প্রথমে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করেছে। যে কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ঘটনার দিন বেলা ১১ টার দিকে মেয়েকে বাড়িতে রেখে নিকটবর্তী বাপের বাড়িতে যান তার মা। এদিকে মা বাড়িতে আসতে দেরি করায় মেয়েটি পাশের বাড়িতে পেঁয়াজ চাইতে যায়। তখন ওই বাড়ির মো. শফিকুল ইসলাম ফুসলিয়ে মেয়েটিকে তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেন। এক পর্যায়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তার ওপর নির্যাতন চালান শফিকুল। এসময় মেয়েটির চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে শফিকুল পালিয়ে যান।

মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, পরবর্তীতে সেদিনই মেয়েটির মা-বাবা ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও চৌকিদারকে জানালে তারা শালিস করে ব‌্যবস্থার কথা বলে কালক্ষেপণ করেত থাকেন।

জানতে চাইলে বড় বিঘাই ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর হাওলাদার বলেন, ‘বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদারকে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করি।’

এ বিষয়ে স্থানীয় কিছু লোকজন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছেন চৌকিদার মো. মাসুদ হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনের বিষয়টি ২৩ তারিখ রাতেই সদর থানার বিট অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম স্যারকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি, কিন্তু তিনি কোনো ব‌্যবস্থা নেননি।’

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মেয়েটির মায়ের করা একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর