রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় বন্দুকের মুখে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ এক নেতার বিরুদ্ধে।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা আনোয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ইউএনবির
তিনি বলেন, শনিবার ভোরে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির মেয়েটিকে উত্তরার প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি বলেন, শুক্রবার রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই ফ্ল্যাট থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও অভিযানের সময় সেখানে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক নারী জড়িত। এমনকি শুক্রবার রাত থেকে পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করছিল এবং অজ্ঞাত নামে মামলা দিতে চাপ দিচ্ছিল বলে জানান তিনি।
ওসি মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই।
এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। মামলায় বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।
তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া না গেলেও অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পায় মেডিক্যাল বোর্ড। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই কিশোরী। এ মামলায় গ্রেপ্তার হন বড় মনির।