বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙ্গা থেকে যশোর গেল ১২০ কিলোমিটার গতির পরীক্ষামূলক ট্রেন

  • প্রতিনিধি, ফরিদপুর   
  • ৩০ মার্চ, ২০২৪ ১৫:৫১

রেলওয়ে কতৃপক্ষ জানায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে শনিবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে পাথর বোঝাই দুটি বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়া স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৮৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে যশোর থেকে ফিরে আবার ভাঙ্গা জংশনে এসে পুনরায় ৫টি বগি বিশিষ্ট একটি যাত্রীবাহী কোচ নিয়ে পুনরায় ট্রায়াল দেয় ট্রেনটি।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করছে।

মালবাহী এবং যাত্রীবাহী কোচ নিয়ে শনিবার ও রোববার দুই দিন যাতায়াতের মাধ্যমে রেলপথের পরীক্ষামূলক সক্ষমতা যাচাই করা হবে। পরীক্ষামূলক যাতায়াত শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পথে চলাচল করবে উচ্চগতির ট্রেন।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে শনিবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিটে পাথর বোঝাই দুটি বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়া স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৮৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে যশোর থেকে ফিরে আবার ভাঙ্গা জংশনে এসে পুনরায় ৫টি বগি বিশিষ্ট একটি যাত্রীবাহী কোচ নিয়ে পুনরায় ট্রায়াল দেয় ট্রেনটি।

দুটি ইঞ্জিন ও দুটি মালবাহী বগি নিয়ে প্রথমবারের মতো ১২০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে রূপদিয়ার দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ছুটেছে ট্রেনটি। এ ট্রেন সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক ঘণ্টায় ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়া স্টেশনে আসা যাওয়া করবে এই পরীক্ষামূলক ট্রেনগুলো।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন শেষে ইতোমধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী হয়ে যশোর, রাজশাহীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের সঙ্গে ট্রেন চলাচল করছে। রেলওয়ে প্রকল্পের রেলওয়ের নির্মাণকাজ শেষে ভাঙ্গা জংশন থেকে সরাসরি যশোরে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করায় নতুন দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে বলে মনে করছেন এ অঞ্চলের মানুষ।

ট্রেনের চালক শাখওয়াত হোসেন জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে পাথর বোঝা নিয়ে একটি মালবাহী ট্রেনে দুটি বগি নিয়ে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেয়। যশোর পৌঁছে সেখানে থেকে কিছু সময় পর আবার ভাঙ্গায় পৌঁছে এবং দুপুর ১২টার দিকে পুনরায় যশোরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসে আবার যাত্রীবাহী ৫টি কোচ নিয়ে যশোর যাবে। এভাবে দুইদিন পরীক্ষামূলক যাওয়া আশা করবে।

স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ বলেন, ‘এখন ঢাকা-যশোর রেলওয়ে চালু হওয়ায় আমরা খুশি। এটা একটা নিরাপদ জার্নি। ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল আগে অনেক ঘুরে যেতে হতো। এখন ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল সরাসরি যাওয়া যাবে। সোজা রোড, সময় কম লাগবে।’

স্থানীয় আলিমুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি যশোর যাবে, এতে মানুষের আরেকটি স্বপ্ন পূরণ হলো। কৃষি প্রধান জেলার কৃষিপণ্য সহজে ট্রেনে পরিবহন করতে পারবে। যশোর থেকে ঢাকায় ও ফরিদপুর থেকে যশোর, খুলনায় সরাসরি পণ্য নিতে পারবে।

রেলওয়েটি ঢাকার কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং নড়াইলের ওপর দিয়ে যশোর গিয়ে শেষ হয়েছে। চলমান প্রকল্প শেষ হলে যশোর থেকে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়া সম্ভব হবে। আর দূরত্ব কমবে ১৯৩ কিলোমিটার।

আজ ট্রায়াল ট্রেনের চালক ছিলেন সাখাওয়াত হোসেন। পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেলওয়ে প্রকল্পে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর