বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৬ মার্চ, ২০২৪ ২২:৪১

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মেজর (অব.) আফিজুর রহমান বলেন, “৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কোন মুক্তির কথা বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন- ‘আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ অর্থাৎ আমাদের সবার মুক্তির কথা। সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, উনি সবার মুক্তি চেয়েছিলেন। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল।”

বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তারা। স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্টের (ইসিটি) যৌথ আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি)।

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সিনিয়র প্যাস্টর রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী এবং ইসিটি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার যে সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পেরিয়ে এসেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সত্যতা জাতি পেয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে বঙ্গবন্ধু সকলের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন তা ইক্যুমেনিজমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মেজর (অব.) আফিজুর রহমান বলেন, “৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কোন মুক্তির কথা বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন- ‘আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ অর্থাৎ আমাদের সবার মুক্তির কথা। সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, উনি সবার মুক্তি চেয়েছিলেন। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল।”

প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, ‘আজ মানুষ খুব আগ্রাসী মনোভাবের, এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষকে আক্রমণ করছে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে আক্রান্ত করছে। এই আগ্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাইকে এক হয়ে বাঁচতে হবে, একসঙ্গে থাকতে হবে। এটাই ইক্যুমেনিজমের বৈশিষ্ট্য।’

অনুষ্ঠানে বক্তারা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের তাৎপর্য ও ইক্যুমেনিজমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।

আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল বাইন এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপিকা রাণী সমদ্দার।

সভাপতির ভাষণে ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) ইক্যুমেনিজমের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রার্থনা করেন রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ এবং অনুষ্ঠান শেষ হয় বিশপ পল শিশির সরকারের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন টমাস সিংহ।

আলোচনা সভায় উপস্থিত সকলের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর