নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ‘টেনশন গ্রুপ’ ও ‘ডেভিল এক্সো গ্রুপ’ নামে দুই কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। রোববার রাতে মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
সোমবার দুপুরে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর সানরিয়া চৌধুরী।
আটক তরুণরা হলো- টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত, তার সহযোগী আরিফুল ইসলাম, হুমায়ুন হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, রাব্বি ও প্রীতম রোবায়েতি ইসফাক এবং ডেভিল এক্সো গ্রুপের সারিব, তার সহযোগী আশিক, নাঈম, তুহিন হোসেন, রোসমান, শাহাদৎ, সৌরভ, মাহিন, তুষার, সৌরভ ও আরিফ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত টেনশন গ্রুপের দলনেতা এবং সারিব ডেভিল এক্সো গ্রুপের দলনেতা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি মধ্যরাতে টেনশন গ্রুপের নেতা সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একইভাবে এক্সো গ্রুপের লিডার সারিব ও তার সহযোগীরা এলাকায় উঠতি বয়সী ছাত্রদের টার্গেট করে মাদক সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
মেজর সানরিয়া চৌধুরী জানান, আটক তরুণরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহনে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া দিয়ে জনমনে ভীতিন সঞ্চার করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
তিনি জানান, টেনশন গ্রুপের নেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও সদস্য প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক এবং ডেভিল এক্সো গ্রুপের সদস্য আশিক ও নাঈমের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।