বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মবিরতি চলবে সোমবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীরা। কম জনবল দিয়ে প্রায় তিন গুণ ভর্তি থাকা রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রোগী ও তাদের স্বজনদেরও অভিযোগ, শনিবার রাত থেকে তারা ভালো সেবা পাচ্ছেন না।
খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিবাকর চাকমা জানান, গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন। ওই সময় বেতন-ভাতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোল স্থগিত করা হয়। পরে পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা এখনও বঞ্চিত রয়েছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক পরিশ্রম করলেও সেই তুলনায় তাদের বেতন-ভাতা অনেক কম। তাদের দাবি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করে অন্তত ৩০ হাজার টাকা করা হোক।’
খুমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালটি ৫০০ শয্যার, কিন্তু রোগী ভর্তি আছে প্রায় এক হাজার ৫০০ মতো। এত রোগী সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদের। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকলে রোগী সামাল দেয়া অনেকটা সহজ হয়।’
তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মবিরতিতে নিয়মিত চিকিৎসকদের রোস্টার করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করার জন্য বলা হয়েছে। যে দুই দিন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করবেন, ওই দুই দিন রোগী ও চিকিৎসকদের কিছুটা বাড়তি কষ্ট সইতে হবে।’