বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর

  • প্রতিনিধি, বাগেরহাট   
  • ২৩ মার্চ, ২০২৪ ১২:১৫

গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, ‘ঘটনার দিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ডাকরা বাজার থেকে ছুটে এসে দেখি আমার স্ত্রী অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। তখন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হয়রানি করা হয়। আমাকে বলা হয় মিথ্যা কথা বলছি, নাটক সাজিয়েছি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি।’

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা তুলে নিতে আসামি ও তার লোকজন হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারীর স্বামী।

উপজেলার ভোজপাতিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় তার স্বামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রামপাল থানায় মামলা করেন।

গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, ‘ঘটনার দিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ডাকরা বাজার থেকে ছুটে এসে দেখি আমার স্ত্রী অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে। তখন ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হয়রানি করা হয়।

‘আমাকে বলা হয় মিথ্যা কথা বলছি, নাটক সাজিয়েছি। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। পরিবার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি।’

ওই গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে সন্তানদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। মরে যেতে ইচ্ছা হয়। ঘটনার দিন রাত প্রায় ১২টার দিকে আমার স্বামী মোবাইলে চার্জ দিতে স্থানীয় ডাকরা বাজারে যায়।

‘আমি তখন ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। এর মধ্যে এক ব্যক্তি আমার ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে নির্যাতন করতে থাকে। ঘরে অন্ধকার থাকায় ও ওই ব্যক্তির মুখ কাপড় থাকায় আমি তখন চিনতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, “পরে আমি মুখের কাপড় সরিয়ে চিৎকার করলে আমার ছেলে-মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে যায়। এ সময় নির্যাতনকারী ওই ব্যক্তিকে বাইরে থেকে কিছু লোক বলতে থাকে, ‘মুকুল দ্রুত চলে আয়।’”

ওই নারী বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ আসে। আমিসহ পরিবারের সবাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় আমি, আমার স্বামী ও ছেলে-মেয়েদের আলাদা রুমে রাখা হয়। এমন ভাষায় আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সে কথা মনে হলে কান্না আসে। এরপর আমাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।

‘নির্যাতনের শিকার হয়েও পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এরপর মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মুকুল ও তার লোকজন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।’

ধর্ষণের অভিযোগ করা গৃহবধূকে হয়রানির বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস বলেন, ‘মামলায় আসামি ও মামলার বাদী ভিকটিমের স্বামী, ভিকটিম ও সাক্ষীদের বক্তব্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করছি।’

পরিবারটিকে মুকুল শেখ হুমকি দিয়েছে জানালে ওসি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখব। এ ছাড়া ভিকটিম বা তার পরিবার কারও দ্বারা হুমকি পেলে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে সেটাও দেখা হবে।’

এদিকে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী। তাদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর