বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জন্মসূত্রে’ পাবনার নাগরিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো!

  • প্রতিনিধি, পাবনা   
  • ২১ মার্চ, ২০২৪ ১৮:২২

ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে দেখা গেছে, জাস্টিন ট্রুডোর পিতা পিয়েরে ট্রুডো, মাতা মার্গারেট ট্রুডো, যা সত্যি সত্যি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়। বিশ্বের এই আলোচিত প্রধানমন্ত্রীকে জন্মসূত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়া হয়েছে পাবনার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জন্মসূত্রে পাবনা জেলার নাগরিক! অন্তত কাগজে-কলমে এমনটিই ঘটেছে। জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে তার নামে ইস্যু করা হয়েছে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ। এ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর তৈরি হয়েছে এলাকায়।

ইউনিয়ন পরিষদের দেয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে দেখা গেছে, জাস্টিন ট্রুডোর পিতা পিয়েরে ট্রুডো, মাতা মার্গারেট ট্রুডো, যা সত্যি সত্যি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে মিলে যায়।

বিশ্বের এই আলোচিত প্রধানমন্ত্রীকে জন্মসূত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ দেয়া হয়েছে পাবনার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে।

স্থানীয়রা জানান, গত বছরের শেষের দিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়ার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে এক ইউপি সদস্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকলেও মূলত দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওলাদ হাসান। তার ছত্রছায়ায় পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেন টাকার বিনিময়ে ইচ্ছামতো যে কারও নামে জন্মনিবন্ধন ইস্যু করতেন।

অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে অনেক কিছুই পাওয়া সম্ভব বলে জানান তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেনের খোঁজ করা হলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ইউপি সচিব আওলাদ হাসান বলেন, ‘আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না। সার্ভারের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় হয়ত কোনোভাবে জেনে গেছে। আমার অগোচরে সে ওটিপি কোড নিয়ে এসব করেছে। এ ঘটনায় আমি দায়ী নই।’

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। ইউনিয়ন পরিষদের সার্ভার কেউ হ্যাক করেও কাজটি করতে পারে। আবার ইউনিয়ন পরিষদের কেউ-ও কাজটি করে থাকতে পারেন।

‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর ঘটনার আসল রহস্য বোঝা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর