বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘আমরা রমজানে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করব’

  • প্রতিনিধি, শেরপুর    
  • ২১ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৪৭

শেরপুর চরাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের একটা উর্ধ্বগতি থাকে। তার নীরব প্রতিবাদ হিসেবে আমরা বিনা লাভে এ পণ্যগুলো বিক্রি করতেছি।’

চলতি রমজানের শুরু থেকেই শেরপুর চরাঞ্চলে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করছে বলে জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, তারা পাইকারি মূল্যে পণ্য কিনে বিনা লাভে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে।

সংগঠনটি প্রতিদিন দুপুর দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করে। এতে অপেক্ষাকৃত কম দামে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পান চরাঞ্চলের মানুষ। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে খেজুর, ছোলা, মুড়ি, তেল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আলু।

শেরপুর চরাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদ সদর উপজেলার লছনমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে বিনা লাভে পণ্য বিক্রির স্টলে নিত্যপণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে।

সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন পাইকারি বাজার থেকে কম দামে পণ্য সংগ্রহ করে বিনা লাভে বিক্রির জন্য স্টলে নিয়ে আসেন। স্টল থেকে পণ্য কিনতে বিকেল থেকে ভিড় করে দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ কম আয়ের লোকজন।

ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘খুচরা বাজারে যে দাম দেওন লাগত, তার চেয়ে এহানে কম পাইছি, যার জন্য এহান থেকে এক কেজি নিলাম। আমরা অনেক খুশি।’

আরেক ক্রেতা সোহাগ মিয়া বলেন, ‘বাজারের চেয়ে এখানে দাম কম। পাইকারি বাজারে তো এক কেজি, আদা কেজি জিনিস দেয় না।

‘পাইকারি বাজারে যে দাম সেই দামে এক কেজি, আদা কেজি জিনিস পাইতাছি আমরা। রমজানে যার যা দরকার, তা এহান থেকে নেওন যাইতাছে।’

বাজারে পণ্য কিনতে আসা শামসুল হক বলেন, ‘ভালো একটা উদ্যোগ। বাজারের যে অবস্থা, রমজান মাস আসলেই সব জিনিসের দাম বাড়ে। এত নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তরা তো পিছিয়ে আছে। এখন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে।

‘আজকের এই যুবকরা যে এই কাজটা করেছে, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। এ রকম উদ্যোগ সব এলাকায় হওয়া দরকার। সুলভ মূল্যে এ জিনিসগুলা বিক্রি করাতে অধিকাংশ গরিব মানুষ উপকার পাচ্ছে।’

খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেশি। তাই রমজানে এ রকম উদ্যোগ আমাদের জন্য অনেক উপকারী। আমরা চাই শেরপুরে প্রতিটি স্থানে স্বেচ্ছাসেবীরা এ রকম ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করুক।’

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্য লাবিব বলেন, ‘রমজান এলেই অযথা অনেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এ জন্য বিনা লাভে এ এলাকার মানুষ যাতে পণ্য কিনতে পারে, আমরা যুবকরা একটা ফান্ড গঠন করেছি। রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে হতদরিদ্র অনেকেই এসব পণ্যই কিনতে পারছেন না। তাই তাদের কথা চিন্তা করে বিনা লাভে আমরা নিত্য পণ্য বিক্রি করছি।’

শেরপুর চরাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা চরাঞ্চল স্বেচ্ছাসেবী ঐক্য পরিষদ শেরপুরের চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত। আমরা বছরে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের একটা উর্ধ্বগতি থাকে। তার নীরব প্রতিবাদ হিসেবে আমরা বিনা লাভে এ পণ্যগুলো বিক্রি করতেছি।

‘অন্যান্য ইউনিয়নেও আমাদের এ সেবা পৌঁছে দেব। আমরা রমজানে এক মাসজুড়ে বিনা লাভে পণ্য বিক্রি করব।’

এ বিভাগের আরো খবর