ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করার আগ্রহ দিনে দিনে হারিয়ে ফেলছে সমাজের মানুষ। সরকার গ্রাম আদালত গঠন করার কারণে ফৌজদারি আদালতে মামলা জটও কমে গেছে। গ্রামের মানুষ এখন সময় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। গ্রাম আদালত উভয় পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে বেশিরভাগ বিরোধ নিষ্পত্তি করে থাকেন। যে কারণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান গতকাল বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়} প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জন সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। বেশি করে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের স্বচ্ছতা এবং আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এবং অংশীজনদের আপোস-মীমাংশার বিষয়বন্তু পাঠ্যপুস্তকে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিনটি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে চলতি বছরের (২০২৫) জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৪১৭টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে উভয় পক্ষের আলোচনা ও সর্বসম্মতিতে ৩৯১টি মামলা শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংশা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ও হয়েছে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সমাজসেবা কার্যালয়েরে উপ-পরিচালক জেড, এম মিজানুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী রানী মজুমদার, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, গ্রাম আদালতের ব্যবস্থাপক জেনারুল ইসলাম জিন্নাহ, নড়াইল সদর উপজেলা সমন্বয়কারি মো. ওমর ফারুক, লোহাগড়া উপজেলা সমন্বয়কারি রেজমিন সুলতান অনেকে বক্তব্য দেন।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,সাংবাদিক, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।