জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে ক্যামেরা ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেছেন বহিরাগত চার ব্যক্তি।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে জাবির প্রক্টরের কাছে বহিরাগতরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন।
ছিনতাইয়ের অভিযোগ থাকা ছাত্ররা হলেন জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান, একই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান নাজিজ ও এহসানুর রহমান রাফি।
এ ঘটনায় অভিযোগকারী চারজন হলেন উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার ও কৃষ্ণ, যারা সাভারের ফোর্টনগর এলাকায় থাকেন।
চারজনের ভাষ্য, জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বুধবার সন্ধ্যার দিকে তারা ছিনতাইয়ের শিকার হন।
অভিযোগকারী উৎপল সরকার বলেন, ‘আমরা চারজন দুটি বাইক নিয়ে বুধবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আমাদের দেখে আমদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেয়ার পর বহিরাগত জানতে পেরে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
‘পরে আরও দুজন ছাত্র এসে আমাদের একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। তারা আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে তাদের দেয়া হয়। এ ছাড়া ব্লগিংয়ে ব্যবহৃত ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরাও ছিনিয়ে নেয় তারা।’
জাবির নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের বাইকে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করি। পরবর্তী সময়ে লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়।’
এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত তিন ছাত্র।
অভিযুক্ত এক ছাত্র বলেন, ‘বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় আমরা তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরবর্তী সময়ে এক প্রকার জোর করে টাকা এবং ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়।’
জাবির প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পাওয়া গেছে।
‘অভিযুক্তরা ঘটনা স্বীকার করে টাকা এবং ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’