বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাজ্য থেকে ভয়ংকর এমডিএমএ আনত উচ্চশিক্ষিত মাদক চক্র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২১

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) মাদক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে ‘খ’ শ্রেণির ভয়ংকর মাদক এমডিএমএসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জুবায়ের (২৮), জি এম প্রথিত সামস (২৫), আসিফ মাহবুব চৌধুরী (২৭), সৈয়দ শায়ান আহমেদ (২৪) ও অপূর্ব রায় (২৫)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হাসান মারুফ।

মো. হাসান মারুফ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তি দক্ষ এক উচ্চবিত্ত মাদক চক্র এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। তারা গাঁজা, কুশ, এমডিএমএ এবং কেটামিন মাদকগুলো যুক্তরাজ্য থেকে পার্সেল মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসত এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরের অভিজাত ডিজে পার্টি ও সোসাইটিতে সরবরাহ করত।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি গত রোববার পল্টনের পুরাতন ডাক ভবন থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা একটি এয়ার পার্সেল তল্লাশি করে। সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চকলেটের নিচে লুকানো অবস্থায় লালচে এমডিএমএ ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে মাদক চক্রের হোতা মো. জুবায়েরকে ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানায়, পার্সেলটি যুক্তরাজ্য থেকে তার পূর্বপরিচিত অরণ্য ডাকযোগে অরণ্যের বন্ধু অপূর্ব রায়ের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে পাঠিয়েছে। যা তাকে রিসিভ করে তার আরেক বন্ধু জি এম প্রথিত সামসের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এর বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেবে বলে জানায়। কাজটি করার জন্য অরণ্যের কথায় প্রথিত তাকে বিকাশের মাধ্যমে তিন বারে ১৫-১৬ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে। তারা মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।

পরে জি এম প্রথিত সামস, আসিফ মাহবুব চৌধুরী, অপূর্বর ও সৈয়দ শায়ান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে এমডিএমএ ট্যাবলেট ৩১৭ পিস, কুশ ১ দশমিক ৬৭৬ কেজি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম এবং কেটামিন ৫০ মিলিলিটারসহ বিপুল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ এবং নগদ ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এই ধরনের মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মাদক ব্যবসাকে রুখতে কাজ করছি।’

ডিএনসি গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর