যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার ভূতের গলি সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘গতকালও (মঙ্গলবার) আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ এ বিষয়ে একটা সভা করেছি। যে বিষয়টা সবচেয়ে পীড়াদায়ক তা হলো, গত বছর মৃত্যুর হার খুবই বেড়ে গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা বলেছি, স্বাস্থ্যসেবাকে আরও নিশ্চিত করতে হবে।
‘কারণ গত বছর আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক রোগীকে প্রাথমিক পর্যায়ে বলা হয়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করলেও চলবে। পরবর্তীতে দেখা গেছে রোগীর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পরে ওই রোগী যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তখন দেখা যায় তাকে সেভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া যায়নি। এতে করে মৃত্যুর হার বেড়ে যাচ্ছে।’
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে বিশেষ করে যেসব দেশে মৌসুমী বৃষ্টি হয় তথা বর্ষাপ্রবণ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এডিস মশা বেশি হয়। সেসব দেশের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, তাদের তুলনায় আমাদের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে রোগীরা স্বাস্থ্যসেবাটা সঠিকভাবে পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করব। সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন পর্যাপ্ত কাজ করছে। আমরা মনে করি, আমাদের প্রয়াস বা কর্মপরিকল্পনা ঠিক আছে। কিন্তু আমাদেরকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত ও মৃত্যু হার কমাতে আমাদেরকে যৌথভাবে আরও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
মেয়র পরে ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুলের সৌজন্যে ওয়ার্ডের আওতাধীন ২১টি মসজিদের ১৫০ জন ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব ও খাদেমের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
এছাড়াও শ্যামপুর এলাকায় ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মাসুদের সৌজন্যে ওয়ার্ডের ২ হাজার ৫০০ বাসিন্দার মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।