বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কী বেদনায় বেঁচে আছি, কেউ জানে না: তনুর মা

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২৪ ১৫:১০

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘পিবিআই আমাদের ডেকে নেয়। আমরা যাই আসি। কথা বলি। মেয়ে হত্যায় জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি। কী বেদনা নিয়ে বেঁচে আছি, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে রাখার ৮ বছর পার হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

২০১৬ সালের ওই ঘটনায় বুধবার নিউজবাংলার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার বাবা-মা।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘পিবিআই আমাদের ডেকে নেয়। আমরা যাই আসি। কথা বলি। মেয়ে হত্যায় জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি। কী বেদনা নিয়ে বেঁচে আছি, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।’

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেন, ‘যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য বের হতো, তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্য ও আত্মীয়স্বজন এমনকি শিক্ষকরাও সাক্ষ্য দিয়েছে, আর কী বাকি রইল।’

পরে তিনি জানান, বুধবার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুই মসজিদে দোয়া ও এতিম শিশুদের ইফতারের আয়োজন করেছেন তিনি।

তনুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশন করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তারমরদেহ পান।

পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা।

তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

সর্বশেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে ২০২০ সালের নভেম্বরে মামলাটির দায়িত্ব পিবিআইকে দেয়া হয়। পিবিআই ঢাকার একটি টিম দায়িত্ব পাওয়ার শুরুর দিকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ঘুরে যান।

২০২৩ সালের ৮ আগস্ট তনুর খালাতো বোন লাইজু জাহানের সাক্ষ্য নেয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। মামলায় সাক্ষ্য দিতে লাইজু তার সিলেটের স্বামীর বাড়ি থেকে এক দিন আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।

পূর্ব নির্ধারিত সময়ে লাইজু, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগম ও তনুর ছোট ভাই রুবেল হোসেন কুমিল্লার নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় পিবিআই অফিসে পৌঁছান। পরে তাদের বলা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ, তাই সাক্ষ্য নেয়া হচ্ছে না। এরপর অন্ধকারে ঢাকা পড়ে মামলার কার্যক্রম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মজিবুল হক বলেন, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা আসামিদের শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

এ বিভাগের আরো খবর