ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে পাঁচ দিন এই রুটে অন্তত দুটি বিশেষ ট্রেন চলবে। দুটি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সাতটি স্টেশনে থামবে।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে ৩ এপ্রিল।
প্রতি বছর ঈদযাত্রায় কক্সবাজার মহাসড়ক ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে যানজট চরম আকার ধারণ করে। এছাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হয়। এবার ট্রেন দেয়ার খবরে স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা বলছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কী পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বলেন, এবারের ঈদের আগে-পরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
এজন্য অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই শতভাগ টিকিট মিলবে।
সূত্র জানায়, ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হয়ে পৌঁছবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা ৭টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
ট্রেনটি ৭টি স্টেশনে থামবে। স্টেশনগুলো হচ্ছে- ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত বছরের ১ ডিসেম্বর। উদ্বোধনের পর থেকে তিন মাস ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করছে দুটি ট্রেন।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে চট্টগ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন তাদের কাছে ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রামে অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন যাত্রী। ঈদযাত্রায় সেটি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।