বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুমেক হাসপাতালের ওষুধ ফের চুরি, দম্পতি গ্রেপ্তার  

  • প্রতিবেদক, খুলনা    
  • ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০২

সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, ‘ওষুধ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারী ও তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওষুধ আবার চুরির ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশ।

হাসপাতালের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড (মেডিসিন) থেকে রোববার দুপুর একটার দিকে ওষুধ চুরি হয়।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়। পরে তাদের সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সোপর্দ করে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সালেহা বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক। ওই হাসপাতালে আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে সালেহা ২০২২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি ফ্রি কর্মী হিসেবে কর্মরত।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রসূতি বিভাগের অপারেশন টেবিলের নিচ থেকে ১ মার্চ বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়। ওই ঘটনার পর ওষুধ চুরি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোববার ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওষুধ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় সালেহা বেগম ও তার স্বামী আবদুর রাজ্জাককে আটক করেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা।

ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চিকিৎসক হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘মাত্র কয়েক দিন আগে প্রসূতি বিভাগের টেবিলের নিচ থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ উদ্ধার করে নার্সিং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট। এ ঘটনায় তিনজন চিকিৎসককে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তাদের তদন্তকাজ করছে।

‘এর পর থেকে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সে কারণেই আজ (রোববার) আবার ওষুধ জব্দ করা সম্ভব হয়।’

তিনি জানান, আটক দুজনকে থানায় সোপর্দ করে মামলা করা হয়। পুলিশের তদন্তে এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তারাও আইনের আওতায় আসবে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হাই বলেন, ‘ওষুধ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নারী ও তার স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’

হাসপাতালের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, ২০২১ সালের নভেম্বরে খুমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারে মজুত করা বিপুল পরিমাণ ওষুধ ও মালামালসহ আউটসোর্সিং কর্মচারী মনিরা বেগমকে আটক করেন প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োজিত আনসার সদস্যরা। এ সময় তার কাছে থাকা ১৪টি ড্রয়ার থেকে ৪২ ধরনের বিপুল পরিমাণ ওষুধ জব্দ করা হয়।

এ ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে অভিযুক্ত আউটসোর্সিং কর্মচারীকে বরখাস্ত ছাড়াও অন্য দুজন আউটসোর্সিং কর্মচারী জাহিদ ও মুকুলকে চাকুরিচ্যুত করার সুপারিশ করে, তবে ওটি ইনচার্জ নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর