বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চতুর্থ কন্যাশিশু বিক্রি করতে গিয়ে বাবা গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, পটুয়াখালী   
  • ১৫ মার্চ, ২০২৪ ১৯:৫৩

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. জসিম জানান, পুত্র সন্তানের আশায় পরপর তিন মেয়ের বাবা হন মো. হানিফ মৃধা। ছেলের আশায় আবারও সন্তান নিলে ফের আশাহত হন তিনি। ফলে হতাশ হানিফ শিশুটিকে চুরি করে দি অ্যাপোলো হাসপাতালের আয়া লাইজু বেগম নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেন।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি করে পাচারের চেষ্টাকালে শিশুটির বাবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গত ৩ মার্চ শহরের পিটিআই রোডে অবস্থিত দি অ্যাপোলো হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে চতুর্থ কন্যা সন্তান প্রসব করেন মো. হানিফ মৃধার স্ত্রী। জন্মের পর অসুস্থ থাকায় শিশুটিকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ৫ মার্চ তাকে চুরি করে বিক্রির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে থানায় জিডি হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি মো. জসিম জানান, পুত্র সন্তানের আশায় পরপর তিন মেয়ের বাবা হন মো. হানিফ মৃধা। ছেলের আশায় আবারও সন্তান নিলে ফের আশাহত হন তিনি। ফলে হতাশ হানিফ শিশুটিকে চুরি করে দি অ্যাপোলো হাসপাতালের আয়া লাইজু বেগম নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেন।

তিনি জানান, শিশু হারানোর বিষয়ে থানায় ডায়েরি হলে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পটুয়াখালী সেতুর ওপর থেকে লাইজু বেগম নামের ৩৮ বছর বয়সী ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে লাইজুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে শিশুটির বাবা মো. হানিফ মৃধাও গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মো. জসিম।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ মৃধা ও লাইজু বেগম জানান, অ্যাপোলো হাসপাতালের আয়া লাইজু বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় মায়ের অগোচরে শিশুটিকে চুরি করে লাইজুর হেফাজতে রাখেন বাবা হানিফ। বৃহস্পতিবার শিশুটিকে পাচারের চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মো. জসিম বলেন, ‘শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর