গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বুধবার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বিস্ফোরণে গুরুতর আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকদের সঙ্গে সকালে সভা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় ভর্তিকৃত রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য নেন মন্ত্রী। ভর্তিকৃতদের মধ্যে কতজন শিশু, কতজনের অবস্থা বেশি গুরুতর, কতজন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি আছেন, তার খোঁজ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়তো বাঁচাতে পারব না, কিন্তু কোনো রোগীর প্রতি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনো রকম অবহেলা না থাকে, এটি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি জানান, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় নিজে বহন করবেন বলে তাকে (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) অবহিত করেছেন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ির টেলি শালা টপস্টার এলাকায় বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বিভিন্ন বয়সী ৩২ জন দগ্ধ হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ৪০ বছর বয়সী আরিফুল ইসলাম, ৩০ বছর বয়সী সাইদুল ইসলাম ও শিল্পী, ২৫ বছর বয়সী সুমন, ২২ বছর বয়সী মশিউর, ২১ বছর বয়সী ইয়াছিন, ১৮ বছর বয়সী সাদিয়া ও তারেক, ১৭ বছরের মন্নাফ, ১৩ বছরের মেরাজ, ১১ বছরের গোলাম রাব্বী, ৯ বছরের সুফিয়া ও ৭ বছরের সোলেমান।
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে বুধবার বার্ন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের জানান, দগ্ধদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে সাত শিশু আছে।
তিনি আরও জানান, শিশুসহ পাঁচজনকে আইসিইউ ও চারজনকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছে।