মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের চলমান সংঘাতের মধ্যে শুক্র ও শনিবার রাতে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে।
দুই দিন পর রোববার সকাল থেকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি উপজেলাটিতে।
সীমান্ত সূত্রে জানা যায়, বিদ্রোহীরা রাখাইনের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে রাজ্যের রাজধানী সিট্টুয়ের দিকে এগিয়ে যান।
রাখাইনে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতে গুলি ও মর্টার শেল ব্যবহার করা হয়। সেসব গুলি সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে পড়ার ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি।
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলিতে এখন পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে।
সীমান্তের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘আজ রাতে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়। এখন দিনের বেলায় সীমান্ত শান্ত আছে। আমরা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রস্তুত।’
টেকনাফের সাবরাং ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘(শনিবার) রাতে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ওপারে মিয়ানমারের মংডু শহরের উত্তর পাশ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে সকাল থেকে গোলাগুলির কোনো শব্দ শোনা যায়নি।’
টেকনাফের ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা (গত দুই দিন) সীমান্তে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।’
টেকনাফ বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’