কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। শনিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ২৩১টি নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে ১৮টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
‘কুমিল্লায় উল্লেখযোগ্য দুই/একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচনটা ম্যানেজ করার জন্য নির্বাচন কমিশনারদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছি।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোনো অভিযোগ আমরা এখনও পাইনি। নির্বাচনে প্রভাব খাটানো হয়েছে, কেন্দ্রের বাইরে গুলি হয়েছে- এরকম অভিযোগ পাওয়া গেলেও কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণ প্রভাবিত হয়নি।’
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক প্রার্থীই কম-বেশি শক্তি প্রয়োগ করেছেন। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। যারা এই কাজটি করেছেন, তাদের আটক করা হয়েছে।
‘আমরা বলেছিলাম, যাকে পাওয়া যায় তাকেই যেন আটক করা হয়। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পরে আর কোনো অভিযোগ পাইনি।
কুমিল্লায় বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে
আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিকেল ৪টার পরও ওখানে একটা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে পরিবেশ কেমন ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট চেয়েছিলাম। ভোটকেন্দ্রের বাইরে যে ঘটনা ঘটেছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা হয়। সার্বিকভাবে আমরা বলতে পারি, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’
বরগুনার আমলতীতে ৬০ শতাংশের মতো, পটুয়াখালীতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান। প্রত্যাশিত সুন্দর, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। কোথাও কোনোকিছু বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।