সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এটি শূন্যে নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবির মহাপরিচালক এ আহ্বান জানান বলে শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাহিনীটি।
গত ৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয় শনিবার।
সম্মেলন নিয়ে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যৌথ আলোচনার দলিল (Joint Record of Discussions-JRD) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের পাঁচ দিনব্যাপী (৫-৯ মার্চ, ২০২৪) সীমান্ত সম্মেলন আজ শেষ হয়েছে। বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী নিতিন আগারওয়াল, আইপিএসের নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
‘অপরদিকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিলের নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশনের প্রতিনিধিসহ ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।’
সম্মেলনে বিজিবির বক্তব্য নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এই সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্ত হত্যার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এটিকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফ মহাপরিচালকের প্রতি আহ্বান জানান।
‘তিনি সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান, মানব পাচার, অবৈধ সীমান্ত পারাপার এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং এসব অপরাধ দমনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএসএফের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।’
বিএসএফের বক্তব্যের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বিএসএফ মহাপরিচালক তাকে এবং ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য বিজিবি মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি গত ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে সিপাহী মো. রইশুদ্দিনের দুর্ভাগ্যজনক নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি সাম্প্রতিককালে ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় ভেসে আসা মৃত ভারতীয় সৈনিকদের মরদেহ ফিরিয়ে দেয়া এবং সহানুভূতিশীল আন্তরিকতার জন্য বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
“তিনি সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ প্রচেষ্টায় সন্তোষ প্রকাশ করে উভয় বাহিনী ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)’ কার্যকর বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।”